“আপ জাইসা কোই” ২০২৫ সালের একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া হিন্দি ভাষার রোমান্টিক
কমেডি ড্রামা সিনেমা, পরিচালনায় বিবেক সোনি। করণ জোহরের ধর্মাটিক এন্টারটেইনমেন্ট এর
ব্যানারে নির্মিত এবং নেটফ্লিক্সে সরাসরি মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন:
🎭
আর. মাধবন – সংরক্ষিত ও অন্তর্মুখী সংস্কৃত অধ্যাপক
শ্রীরেণু ত্রিপাঠী চরিত্রে
💃
ফাতিমা সানা শেখ – প্রাণবন্ত ও প্রগতিশীল ফরাসি ভাষা
প্রশিক্ষক মধু বোস চরিত্রে
এই চলচ্চিত্রটি ভিন্ন মানসিকতা, বয়স ও
সামাজিক কাঠামোর দুটি মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা প্রেম এবং আত্ম-আবিষ্কারের গল্প।
🧩
কাহিনি সংক্ষেপ:
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শ্রীরেণু
ত্রিপাঠী, জামশেদপুরের এক মধ্যবয়সী, শান্ত ও নিয়মনিষ্ঠ সংস্কৃত অধ্যাপক, যিনি রুটিনমাফিক
জীবনযাপন করেন। তাঁর জীবনে আকস্মিক পরিবর্তন আসে, যখন তিনি একটি ভাষা ও সংস্কৃতি কর্মশালায়
মধু বোস নামের এক উদ্যমী ও প্রাণচঞ্চল ফরাসি প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরিচিত হন।
মধু এক আধুনিক, স্পষ্টভাষী ও খোলামেলা
মানসিকতার নারী। তার সাথে শ্রীরেণুর প্রথম সাক্ষাৎ থেকেই দুজনের মধ্যে এক ধরনের “opposites
attract”
সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত, অথচ ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করে, একে
অপরের জীবনে ঠিক কতটা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
তবে তাদের সম্পর্ক সহজ নয়। শ্রীরেণুর পরিবার
তার “অদ্ভুত” পরিবর্তনে সন্দিহান।
বিশেষ করে তার কনজারভেটিভ ছোট ভাই, যিনি সামাজিক নিয়ম ভাঙা সম্পর্কের বিরুদ্ধে। একইভাবে,
মধুর পরিবারও মনে করে, বয়স এবং সংস্কৃতিগত ব্যবধান এই সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করবে।
গল্প ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে কলকাতায়, যেখানে
মধুর ব্যক্তিগত ইতিহাস ও অতীত প্রেম ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়। শ্রীরেণু বুঝতে পারেন,
ভালোবাসা কেবল অনুভূতির বিষয় নয়—এটি আত্মপরিচয়, সম্মান, এবং দৃষ্টিভঙ্গির
প্রশ্নও।
সিনেমার মধ্যভাগে আমরা দেখতে পাই, শ্রীরেণু
মধুকে তার পরিবার ও সমাজের রীতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন। কিন্তু মধুও তাকে শেখান,
আত্মপ্রকাশ ও স্বাধীনতার গুরুত্ব।
চলচ্চিত্রের ক্লাইম্যাক্সে একটি পাবলিক
ভাষণ ও পারিবারিক মুখোমুখি পরিস্থিতিতে শ্রীরেণু তার ভালোবাসা প্রকাশ করেন। সমাজ, বয়স,
রীতি—সব বাধাকে পেছনে
ফেলে মধু ও শ্রীরেণুর গল্প দাঁড়িয়ে যায় এক নতুন “সামঞ্জস্যের ভাষা”য়।
আরো দেখুন:
মায়াকুথু মুভি ডাউনলোড
রবীন্দ্র কাব্য রহস্য মুভি ডাউনলোড
“আপ জাইসা কোই” শেষ পর্যন্ত
দর্শকদের শেখায়—প্রেম কেবল যৌবনের বিষয় নয়, এটি এমন এক সংযোগ, যা মনের
গভীরতা, পারস্পরিক সম্মান ও মানসিক পরিপক্বতা থেকে জন্ম নেয়।