"রবীন্দ্র কাব্য রহস্য" (Rabindra
Kabya Rahasya) ২০২৫ সালের অন্যতম আলোচিত এবং বিতর্কিত বাংলা নব্য-নোয়ার রহস্য থ্রিলার
চলচ্চিত্র, পরিচালনা করেছেন সায়ন্তন ঘোষাল। সিনেমাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য
এবং রাজনৈতিক ভাবনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এক ঐতিহাসিক এবং আধুনিক যুগের রহস্যময় সেতুবন্ধ।
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, ও তনুশ্রী চক্রবর্তী।
ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে এক শতাব্দীজুড়ে চলা একটি ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ঘিরে,
যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ও উত্তরাধিকার জড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ও ইতিহাস
বিকৃতির চেষ্টায়।
🧩
কাহিনি সংক্ষেপ:
১৯২১, লন্ডন:
ঈর্ষাপরায়ণ সাহিত্যিকদের চক্রান্তের শিকার
হন কবি একলব্য সেন। তিনি কিছু অপ্রকাশিত রচনা হাতে পেয়েছিলেন, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সাহিত্যিক ভাবনার কাছাকাছি বা কিছু ক্ষেত্রে উত্তম বলেও মনে করা হচ্ছিল। এই রচনাগুলির
ভিন্নমত তৈরি করে ফেলেছিল ঠাকুরের ভাবমূর্তি নিয়ে। সেনের এই রচনাগুলি চুরি হয় এবং এরপরই
তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু হত্যার প্রকৃত কারণ চেপে রাখা হয়।
এক শতাব্দী পরে, ২০২১:
অভীক বোস, একজন ক্রাইম নোভেল লেখক, এবং
হিয়া সেন, একজন রবীন্দ্রসংগীত গবেষক, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কবিতার বিভিন্ন পংক্তিতে
লুকানো সংকেত খুঁজে পান। রবীন্দ্রনাথের কিছু রচনার মধ্যে এমন সব লুকানো মেসেজ দেখা
যায়, যেগুলো এক শতাব্দী পুরনো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। সেই ষড়যন্ত্রে দাবি করা হয়,
ঠাকুর ব্রিটিশদের পক্ষে ছিলেন এবং ভারতীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন—যা ইতিহাস বিকৃতির
একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
তদন্তের জালে জড়িয়ে পড়েন অভীক ও হিয়া।
তাঁরা জানেন না, কার ওপর বিশ্বাস করা যায় আর কার ওপর নয়। তাদের খোঁজ পৌঁছে যায় সেই
পুরনো জাল পাণ্ডুলিপি চক্রের, যারা এখনও সক্রিয়। হঠাৎ করেই লন্ডনে শুরু হয় ধারাবাহিক
হত্যাকাণ্ড। প্রতিটি খুন যেন একেকটি কবিতার লাইন অনুসরণ করে ঘটে, আর হঠাৎ করেই হিয়ার
নাম ঘুরপাক খেতে থাকে সন্দেহভাজনদের তালিকায়।
ADS2
অভীক দ্বিধায় পড়ে যান—তিনি হিয়ার উপর
বিশ্বাস করবেন, না কি তাকেও তদন্তের আওতায় আনবেন? প্রশ্ন ওঠে, হিয়া কি কেবল গবেষক,
না কি অতীত ও বর্তমান হত্যার মাঝে সেতুবন্ধ রচনাকারী?
আরো দেখুন:
আঁখোঁ কি গুস্তাখিয়াঁ মুভি ডাউনলোড