বর্তমান যুগে
প্রযুক্তি যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে, ঠিক সেখানেই শুরু হয় “ট্রেন্ডিং” ছবির ভয়াবহ ও বুদ্ধিদীপ্ত কাহিনি।
এটি কেবল একটি থ্রিলার নয়— বরং এটি একটি সতর্কবার্তা, যা প্রযুক্তির অতিরিক্ত নির্ভরতার বিপজ্জনক
পরিণতি তুলে ধরে।
ট্রেন্ডিং
(২০২৫) হল একটি মনস্তাত্ত্বিক তামিল টেকনো-থ্রিলার মুভি, যা পরিচালনা করেছেন নবাগত
শিবরাজ এন। রাম ফিল্ম ফ্যাক্টরির ব্যানারে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন কালাইয়ারসন,
প্রিয়লয়া, প্রেম কুমার ও বেসান্ত রবি। স্যাম সি. এস.-এর সঙ্গীত এবং প্রবীণ বালুর
চিত্রগ্রহণে নির্মিত ছবিটি আপনাকে বাস্তব ও ভার্চুয়াল দুনিয়ার এক ভয়ঙ্কর সংমিশ্রণে
নিয়ে যাবে। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ
প্রযুক্তির বিপজ্জনক দিকগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই রুদ্ধশ্বাস গল্প।
📖 কাহিনি সংক্ষেপ:
“ট্রেন্ডিং” সিনেমার গল্প শুরু হয় অর্জুন (কালাইয়ারসন) নামক এক প্রযুক্তিবিদ ও
কনসালটেন্টকে ঘিরে। অর্জুন একজন প্রাইভেট সাইবার ইন্টেলিজেন্স স্পেশালিস্ট, যিনি গোপনে
বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ঘাটতি খুঁজে বের করেন। কিন্তু একদিন সে নিজেই
একটি ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পড়ে।
এক গোপন প্রজেক্টের
মাধ্যমে অর্জুন আবিষ্কার করে, একটি আন্তর্জাতিক টেক কোম্পানি “NeuroByte Inc.” মানুষের মস্তিষ্কে
ইনস্টলযোগ্য এক ধরনের চিপ তৈরি করছে, যার মাধ্যমে ব্যক্তির চিন্তা, আবেগ ও সিদ্ধান্ত
সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এই চিপের ট্রায়াল
হিসেবে তারা একটি মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করে — “Trending” নামে। সাধারণ মানুষ এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের ট্রেন্ডিং বিষয়,
চ্যালেঞ্জ এবং কনটেন্টে অংশ নিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই তাদের চিন্তাভাবনার উপরে কোম্পানির
নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দিচ্ছে।
প্রিয়লয়ার
চরিত্র ইশা, একজন ডেটা প্রাইভেসি অ্যাক্টিভিস্ট, অর্জুনের সাথে যুক্ত হয়ে এই অ্যাপের
আসল সত্য উদঘাটনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুজনে মিলে খুঁজে বের করে— এই অ্যাপের মাধ্যমেই দেশের যুবসমাজকে
মানসিকভাবে প্রভাবিত করে কিছু গোপন রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচন থেকে শুরু করে সামাজিক
হিংসা পর্যন্ত ছড়াচ্ছে।
এদিকে অর্জুন
নিজেও ধীরে ধীরে এক ধরণের মানসিক বিভ্রান্তির শিকার হতে থাকে। সে বুঝতে পারে, তাকে
ট্র্যাক করা হচ্ছে এবং সে নিজেই হয়তো "টেস্ট সাবজেক্ট" হয়ে গেছে।
ছবির শেষ অংশে দেখা যায়, অর্জুন ও ইশা সরকার ও আন্তর্জাতিক হ্যাকারদের সহায়তায় ‘Trending’ অ্যাপের সার্ভার ধ্বংস করতে সফল হয়। কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়— কারণ সিনেমার শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, অন্য একটি অ্যাপ স্টোরে নতুন নামে একই ধরণের অ্যাপ আপলোড হচ্ছে।আরো দেখুন:
ধূমকেতু মুভি ডাউনলোড – Dhumketu Movie Download