“ইন্টারোগেশন” হল ২০২৫ সালের
একটি হিন্দি ভাষার সাসপেন্স থ্রিলার চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন অজয় ভার্মা রাজা
এবং ZEE5-এ মুক্তি পেয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে এই ছবির
গল্প এগোয়, যেখানে চারজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি প্রধান সন্দেহভাজন। মনু সিং তার প্রথম সিনেমাতেই
কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, সঙ্গে আছেন দর্শন জারিওয়ালা, রাজপাল যাদব ও গিরিশ
কুলকার্নির মতো শক্তিশালী অভিনেতারা। ছবিটি রহস্য, টুইস্ট ও সাসপেন্সে ভরা যা প্রতিটি
মুহূর্তে দর্শকদের ভাবতে বাধ্য করে—কে সত্যি, কে
মিথ্যা বলছে?
রহস্য, জেরা আর বিশ্বাসঘাতকতায় ভরপুর এক
মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার “ইন্টারোগেশন”। ২০২৫ সালের
অন্যতম আলোচিত হিন্দি ওয়েব ফিল্মটি ZEE5-এ মুক্তি পেয়েছে। এক বৃদ্ধ বিচারকের অস্বাভাবিক
মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় এক জটিল তদন্ত—আর সেই তদন্ত
আমাদের নিয়ে যায় এক গভীর অন্ধকার গলিতে।
🎞️
কাহিনি সংক্ষেপ:
সিনেমার শুরুতেই দেখা যায়, একজন প্রভাবশালী
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নন্দ কিশোর বামরা-কে তার নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি সমাজে একজন সৎ ও কড়া বিচারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যু প্রথমে প্রাকৃতিক
বলে ধরে নেওয়া হলেও কিছু অদ্ভুত তথ্য পুলিশের সন্দেহ জাগায়।
তদন্তভার নেয় সাব-ইনস্পেক্টর বীর সিং
(অভিমন্যু সিং), যিনি ধাপে ধাপে তদন্ত শুরু করেন। বিচারকের মৃত্যুর দিনে চারজন ব্যক্তি
তাকে দেখেছিলেন—
1.
তার
আইনজীবী ও পুরনো বন্ধু শুভাষ
মেহতা,
2.
তার
ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সঞ্জয় কুন্দর,
3.
প্রাক্তন
ছাত্র রবি দেশপান্ডে,
4.
এবং
একজন নার্স শ্রুতি,
যিনি বিচারকের শেষদিনগুলোতে তাকে দেখভাল করছিলেন।
এই
চারজনকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রত্যেকেই দাবি করে, তারা শুধু দেখা করতে
এসেছিলেন এবং বিচারক তখন ভালোই ছিলেন। কিন্তু একেকজনের বিবরণে অমিল দেখা দেয়। কেউ
একজন লুকাচ্ছেন সত্য।
ধীরে
ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে:
·
বিচারক অতীতে একটি বিতর্কিত রায় দিয়েছিলেন,
যার ফলে এক নির্দোষ ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছিলেন।
·
সেই মামলার রায় ছিল অনেকের জীবনের মোড় ঘোরানোর
কারণ।
·
রবি দেশপান্ডে সেই আত্মঘাতী ব্যক্তির ভাই, যার
জীবনে বিচারক ছিলেন ঘৃণিত চরিত্র।
তদন্তের
মাঝে আরও চমক আসে যখন জানা যায়, বিচারক মৃত্যুর কিছুদিন আগে তার উইল পরিবর্তন
করেছিলেন। উত্তরাধিকার নিয়ে প্রত্যেকের মধ্যেই ছিল লোভ ও সন্দেহ।
একটি
USB ড্রাইভ উদ্ধার হয়, যাতে বিচারক নিজের ভয়েস নোটে চারজনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং
আশঙ্কার কথা বলেছিলেন। সেই নোটে তিনি স্পষ্ট বলেন:
“তাদের
কাউকে বিশ্বাস করা যায় না। আমার মৃত্যুর পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করো।”
শেষ
পর্যন্ত পুলিশ বুঝতে পারে, বিচারকের মৃত্যু আসলে এক ধূর্তভাবে সাজানো হত্যা। কিন্তু
খুন করেছে কে?
চমকপ্রদভাবে,
খুনি হিসেবে ধরা পড়ে শ্রুতি,
নার্স, যিনি ছিলেন আত্মহত্যাকারীর প্রেমিকা। বিচারকের কারণে তার প্রেমিকের মৃত্যু
হয়েছিল। প্রতিশোধ নিতে গোপনে তিনি কাজ নেন বিচারকের বাসায়, এবং ধীরে ধীরে তাঁর
খাদ্যে বিষ মেশাতে থাকেন।
আরো দেখুন:
ফিনিক্স মুভি ডাউনলোড
শেষ
দৃশ্যে দেখা যায়, বীর সিং ব্যাখ্যা করছেন—
“প্রতিশোধ
সত্যি ধ্বংসাত্মক, কিন্তু বিচার যদি সময়মতো না হয়, তা আরও খারাপ ফল আনে।”